যুদ্ধে পুতিন জিতলে কি পরিণাম হবে? | রাশিয়া ধ্বংস হোক, তা চায় না ফ্রান্স
চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া তথা দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যদি বিজয়ী হন, তাহলে ইউরোপের পরিণাম কী হবে?
জার্মানির মিউনিখ সম্মেলনের অধিবেশনে দেওয়া বক্তৃতায় হুশিয়ারি উচ্চারণ করে জোট ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে, তখন ঝুঁকিমুক্ত বিকল্প কিছু নেই। বরং ঝুঁকি আরও বেশি হবে, যদি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই যুদ্ধে জয়ী হন।
তিনি বলেন, ‘অনেকে মনে করছেন, ইউক্রেনের প্রতি আমাদের সমর্থন ঝুঁকি তৈরি করছে। তবে আমি পরিষ্কার বলতে চাই, ঝুঁকিমুক্ত কোনো বিকল্প নেই। বরং সবচেয়ে বড় ঝুঁকি তৈরি হবে, যদি পুতিন এই যুদ্ধে বিজয়ী হন।’ জোটের বাইরেও ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে ন্যাটোর মহাসচিব বলেন, পুতিন যদি এই যুদ্ধে জয়ী হন, তা হলে অন্য স্বৈর শাসকরা তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য বল প্রয়োগে উৎসাহিত হবে। এর ফলে একদিকে যেমন বিশ্ব বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পড়বে, তার চেয়েও বেশি ঝুঁকিতে পড়বে ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্রগুলো।
‘সুতরাং এ মুহূর্তে ইউক্রেনকে শুধু নৈতিকভাবে সমর্থন করাই যথেষ্ট নয়; বরং এটি আমাদের নিরাপত্তার স্বার্থের বিষয়!
অন্যদিকে, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে রাশিয়াকে পরাজিত দেখতে চান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। তবে দেশটি ‘ধ্বংস’ হয়ে যাক, তা চান না তিনি। গত শনিবার ফ্রান্সের বিভিন্ন Social media'y এসব কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে।
এছাড়াও ইউক্রেনকে আরও সহায়তা করতে সম্মেলনে মিত্র দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ইউক্রেনে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত আছে ফ্রান্স।
তিনি আরও বলেন, আমি চাই, রাশিয়া ইউক্রেনে পরাজিত হোক। আমি এটাও চাই যে, নিজেদের সুরক্ষিত করার সক্ষমতা ইউক্রেনের থাকুক।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি নিশ্চিত যে এই যুদ্ধ সামরিকভাবে শেষ হবে না।
অনেকে চলমান যুদ্ধটা রাশিয়ার অভ্যন্তরে নিয়ে যেতে এবং দেশটিকে ধ্বংস করতে চায় উল্লেখ করে মাখোঁ বলেন, এই লোকগুলো যা মনে করে, আমি তা করি না। তাদের লক্ষ্য, রাশিয়াকে পুরোপুরি পরাজিত করা এবং রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালানো। যারা রাশিয়ার মাটিতে হামলা চালিয়ে দেশটিকে ধ্বংস করে দিতে চায় তাদের সমালোচনা করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট।
No comments