Top 5 Dangerous Lake in the world
Top 5 Dangerous Lake in the world
দ্বীপ শব্দটির কথা মনে হলেই চোখের সামনে অপরূপ সৌন্দর্যময় দ্বীপের কথা মনে পড়ে।সমুদ্রের বুকে মাথা তুলে রাখা প্রবাল দ্বীপের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই। বিশ্বের হাজার হাজার দ্বীপের মধ্যে কিছু যেমন আপনাকে টানবে, আবার কিছু কিছু দ্বীপ থেকে দূরে থাকাই শ্রেয় মনে করবেন আপনি।
1.Snake Island
আপনি কখনো ভেবে দেখেছেন পৃথিবীতে এমনও দ্বীপ হতে পারে যেখানে শুধুমাত্র বিষধর সাপ দেখা যায়। এই সাপের দ্বীপ ব্রাজিলে অবস্থিত। গবেষকদের মতে,এখানে এত বেশি সাপ আছে যে প্রতি স্কয়ার কিলোমিটারে ৫টি সাপ দেখা যায়। এই দ্বীপে গোল্ডেন সাপ নামে এক ধরনের সাপ রয়েছে। আপনি জেনে অবাক হবেন যে এই সাপ কোনো মানুষকে কামড়ালে ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে মানুষটি মারা যাবে। যার জন্য সেই দেশের সরকার সেখানে মানুষদের যাওয়া নিষেধ করেছেন। এই দ্বীপটি বাহিরে থেকে এতই সুন্দর যে, যে কেউ সেখানে যেতে চাইবে। স্থানীয় মানুষের মতে, 1900-1920 সালে এখানে মানুষের শেষ বসতি ছিল।
2.Crocodile Island
Crocodile Island | Top 5 Dangerous Lake in the world
Crocodile island অর্থাৎ কুমিরের দ্বীপ। এই দ্বীপের আসল নাম হোল রামরি দ্বীপ।সবচেয়ে বেশি মানুষকে আহত করার জন্য এই দ্বীপটি রেকর্ড বইয়ে নাম লিখিয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৫ সালে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের কাছে, উপকূলে ব্রিটিশ বাহিনীর সাথে লড়ছিলো একদল জাপানি সেনা। জাপানি সেনারা সংখ্যায় ছিলো এক হাজার জনের মতো। প্রতিপক্ষের তুলনায় কমশক্তি জেনে, জাপানি সেনারা রামরি দ্বীপটি পাড়ি দিয়ে দশ মাইল দূরে অপর পাড়ে জাপানি ঘাঁটিতে পৌঁছানোর পরিকল্পনা করে। কিন্তু তারা ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করতে পারেনি কি বিভিষীকা অপেক্ষা করে আছে তাদের জন্য।
রামরি দ্বীপের জলাভূমিতে লোনাপানির কুমির ছিলো সংখ্যায় অগুনতি। ভাগ্যাহত সৈনিকরা যেচে পড়ে যেন হাজির হলো ক্ষুধার্ত কুমিরের সামনে। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, এক হাজার সেনার মধ্যে জলাভূমিটি পার হতে পেরেছিলো মাত্র ২০জন। বাকি সবাই কুমিরের পেটে গিয়েছে বলে দাবি করা হয়। যদিও এই সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে। অনেকে বলেন, সেদিন ৪০০ জনের মতো মারা গিয়েছিলো। আর তাদের সবাই কুমিরের পেটে যায়নি। অনেকেই, ব্রিটিশ বাহিনীর গুলিতে, পানিশুন্যতা বা পানিতে ডুবে মারা গিয়েছিলো।
এরপর থেকে ওই দ্বীপ নিয়ে মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করতো। যদিও জলবায়ু পরিবর্তেন প্রভাবে বেশিরভাগ কুমিরই এখন লোপ পেয়েছ। কিন্তু গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে, এ ঘটনাকে স্থান দেয়া হয়েছে।
3.Palmyra Island
Palmyra Island | Top 5 Dangerous Lake in the world
আমেরিকায় অবস্থিত এই আইলেন্ডটি এক অদ্ভুত ধরনের। এটি দেখতে কোনো normal island এর মতো নয়।। এর চারপাশে সবুজ গাছপালায় ভর্তি।কিন্তু এখানে কোনো মানুষ বসবাস করেনা। কারন এটি একটি cursed island অভিশপ্ত দ্বীপ বলে মনে করা হয়। এই দ্বীপটিতে বহু জাহাজ ডুবে যাওয়ার ঘটনা ও রয়েছে। যে সমস্ত মানুষেরা এই আইলেন্ড থেকে জীবিত জিরে এসেছেন তারা এই আইলেন্ড সম্পর্কে অদ্ভুত নানান ধরনের কথা বলেছেন।
4.Island of Dolls
Island of Dolls | Top 5 Dangerous Lake in the world
মেক্সিকো শহরের একবারে দক্ষিণে রয়েছে সবুজে ঘেরা একটি দ্বীপ। সবুজের সমারহ একেবারেই নয়নাভিরাম। কিছুটা দৃষ্টি মেললেই দেখা যায় দ্বীপটি বেশ আলো-ছায়া মাখা। অথচ দ্বীপে পা রাখলেই যেন এক অজানা আতঙ্ক গ্রাস করতে ছুটে আসে। ভরদুপুরেও এই দ্বীপ যেন হয়ে ওঠে অশরীরিদের আখড়া। কারণ দ্বীপে ঢুকলেই যেন গা ছমছমিয়ে ওঠে। এই দ্বীপের নামই হয়ে গিয়েছে ‘দ্য আইল্যান্ড অব ডলস’। দ্বীপটির নামকরণের পিছনে রয়েছে রহস্যময় এক অতীত।
সব গাছ থেকে ঝুলে রয়েছে ছোট-বড় এমন নানা চেহারার পুতুল।যদিও এই পুরোটাই শোনা কথা। দ্বীপটি ঘিরে ছড়িয়ে আছে নানা কাহিনী শোনা যায়। কথিত আছে, এই দ্বীপে পুতুল নিয়ে খেলছিলো তিন মেক্সিকান শিশু। খেলার সময়ে হঠাৎ একটি শিশু উধাও হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পাশের একটি খালে সেই শিশুটির মৃতদেহ পাওয়া যায়। সেই থেকে সাধারণ মানুষের কাছে এই দ্বীপটি হয়ে ওঠে ভয়ঙ্কর এক দ্বীপ। সবুজে ঘেরা দ্বীপ নিয়ে তৈরি হয় নানা অজানা কাহিনী।
কিন্তু এই দ্বীপটিতে পুতুল রাখার কাজ কে করেছিলেন? জানা যায় ডন জুলিয়ান সান্তানা বারেরা নামের এক ব্যক্তি দ্বীপটির তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। শিশুটির মৃত্যুর পর পরই তিনি ওই দ্বীপমধ্যস্থ খালে একটি ভাসমান পুতুল দেখতে পান। তাঁর মনে হয়েছিল হয়ত মৃত শিশুটিই ভেসে এসেছে। শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সেই পুতুলটিকে তিনি গাছে বেঁধে ঝুলিয়ে দেন। সেই শুরু। এরপর থেকেই তিনি গাছে নানা ধরনের পুতুল ঝুলিয়ে রাখতে থাকেন। সমাজ থেকে নিজেকে আলাদা করে নিয়ে তিনি থাকতে শুরু করেন এই নির্জন দ্বীপ।যদিও অনেকের মতে জুলিয়ান যেন কোনও অদৃশ্য শক্তির মাধ্যমে চালিত হতে শুরু করেছিলেন। সারা দিনই বাচ্চা মেয়ের ফিসফিস শুনতে পেতে শুরু করেন তিনি, এমনটাই কথিত রয়েছে। জীবনের বাকি ৫০টি বছর ওই দ্বীপেই কাটান জুলিয়ান। শুরু তাই নয় বিভিন্ন জায়গা থেকে এমন সব নানা পরিত্যক্ত পুতুল তুলে এনে দ্বীপের গাছগুলিতে ঝোলাতে শুরু করেন তিনি। কোনও পুতুল মুণ্ডহীন, কোনটির আবার চোখ ওপরানো, কারও নেঅ হাত-পা।
আশ্চর্যজনকভাবে ৫০ বছর পর জুলিয়ানকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় সেখানেই, যেখানে মেয়েটি ডুবে গিয়েছিল। জুলিয়ানের পরিবার অবশ্য পরবর্তীকালে এগুলো অস্বীকার করে। কিন্তু পুতুলদ্বীপের রহস্য আজও অজানা।
তবে এখনও কি সেখানেই ঘুরে বেড়ায় অশরীরিরা? কিংবা জুলিয়ান নিজেও? না কি পুরো ব্যাপারটাই মানব মনের কল্পনা? কল্পনার রহস্য ঘেরা এই দ্বীপ এখনও এমন নানা প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে।
No comments