Bill Gates | The Brief story Behind Microsoft | Tazza Trendz
Bill Gates | The Brief Story Behind Microsoft | Tazza Trendz
বিংশ শতাব্দীর আশি দশকে ছোট্ট একটি ঘরে মাইক্রোসফট নিয়ে কাজ শুরু হয়। কে জনত এ কাজটি ছোট্ট কুঠিরে আবদ্ধ থাকবে না,ছড়িয়ে পড়বে সারা বিশ্বে। মানুষদেরকে বা বিভিন্ন প্রান্তের কোম্পানির মোড় ঘুড়িয়ে দিবে। সহজ করে দিবে মানুষের অপারেটিং সিস্টেমকে। বিশ্বে শুরু করবে এক অশ্রূত বা অভূতপূর্ব বিপ্লব। প্রকৃতপক্ষে বিস্ময়কর কর্মগুলো এভাবেই শুরু হয়।
Tazza Trendz Blog এর আজকের এই পর্বে আজ তেমনি একজন সফল ব্যক্তির জীবনী এবং তার সফলতার গল্প নিয়ে আলোচনা করব। যিনি মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান, সাবেক প্রধান সফটওয়্যার নির্মাতা এবং সাবেক (CEO)।তাহলে আপনারা বুঝতেই পারছেন আমি কার কথা বলতে চাচ্ছি, তিনি আর কেউ নন, বিল গেটস। তাই পুরো আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
বিল গেটস এর পুরো নাম হলো William Henry gates jr (junior) ;এটা হয়ত আপনারা অনেকেই জানেন। তবে এই বিল গেটসের এই লম্বা নামের পেছনে একটা মজার ঘটনা আছে। বিল গেটসের যে বাবা ওনার নামও কিন্তু William Henry gates (sr). এবং ওনার যে দাদা বা বাবার বাবা ওনার নামও William Henry gates jr! আবার দাদার যে বাবা তার নাম ও William Henry gates sr. এভাবেই চার/ পাচঁ পূর্বপুরুষের নাম একই। এটা একটা মজার information!
আপনারা হয়ত অনেকেই জানেন তিনি বই প্রেমি একজন মানুষ ছিলেন। বই পড়া এক প্রকার তার নেশা ছিল। ছোটবেলায় বিল গেটসের এলাকায় একটি library contest হত। যে যত বেশি বই library থেকে নিয়ে পড়তে পারবে তাকে পুরস্কিত করা হত। আর সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হল বিল গেটসই এই পুরস্কার পর পর অনেক বার পেল।
1967 সালে বিল গেটস School change করে এবং ১৩ বছর বয়সে তিনি সিয়াটলের বিখ্যাত প্রাইভেট স্কুল “লেকসাইড স্কুলে”ভর্তি হন। তখন সেই স্কুলে শুধুমাত্র মেধাবী ছাত্রদের ভর্তি নেওয়া হতো। তার মা তাকে এখানে ভর্তি করান। তিনি প্রথম থেকেই তার স্কুলের টেক্সট ও রেফারেন্স বইয়ের পাশাপাশি এনসাইক্লোপিডিয়ার মতো বই পড়তে পছন্দ করতেন।
lakeside স্কুলে একটি computer ছিল। তখনকার কম্পিউটার আর এখনকার computer এক না। তখনকার কম্পিউটার ছিল অনেক বড় বড় ফ্রিজের মত। যা খুব নামিদামি স্কুল বা কম্পানি ব্যবহার করত।
সে সময়ে কম্পিউটারের যেহেতু অনেক দাম ছিল তাই অনেক গুলো প্রতিষ্ঠান মিলে একটি কম্পিউটার ব্যবহার করত। তারপর এটা share করত একজন আরেকজনের সাথে। শুধুমাত্র কঠিন হিসাব ছাড়া কেউ কম্পিউটার touch ও করত না। তো lakeside স্কুলে বিল গেটস ৭ ম শ্রেণিতে ভর্তি হয়। এবং সে স্কুলে একটি teletype machine ছিল। যেটা দিয়ে computer er program লিখা হত। বিল গেটস যখন এই teletype machine er access পায় তখন সে ভাবতে থাকে এটা কি জিনিস! এই পুরো process টা কিভাবে হয়। তখন সে এগুলো নিয়ে ঘাটাঘাটি করা শুরু করে দেয়।
ঐসময়ে খুব জনপ্রিয় একটা business ছিল computer a subscription business!
আপনারা কারনটা বুজতেই পারছেন হয়ত।
কারন কম্পিউটার দামি একটা জিনিস। সব কম্পানি তা কিনতে পারত না। বড় বড় কিছু কম্পানি ছিল যারা কম্পিউটার ব্যবহার করত মাসে 89$; 99$; এবং 300$ এ কম্পিউটার access ভাড়া দিত।
lakeside schools এ তাদের কম্পিউটার রাখার জন্য প্রতি ঘন্টায় 8$ এবং monthly extra 99$ pay করতে হত। একটা সময় পর দেখা যায় । তারা খরচটা বহন করতে পারছেনা। বিল গেটস ও তার বন্ধুরা এটা জানতে পারে। এবং চিন্তা করে এমন কিছু একটা করতে যাতে lakeside school এ আর কম্পিউটারের ভাড়া না দিতে হয় তারা নিজেরাই তা বহন করবে।
তারপর C cube নামের একটি কম্পানির সাথে বিল গেটস ও তার বন্ধুরা যোগাযোগ করে এবং তাদের বলে আমরা programming সম্পর্কে খুব ভালো বুজি। আমরা তোমার কম্পানির bug find করে দিব। আপনারা অনেকেই জানেন bug find কি? Bug find মূলত অন্যান্য কোনো কম্পিউটার বা প্রোগ্রামের যদি ভূল ধরিয়ে দিতে পারেন তাহলে ঐসব কম্পানি আপনাকে একটা pay করবে। এটা অনেক famous একটা subject.
তো বিল গেটস ও তার বন্ধুরা তাদের এটাও বলে যে এর জন্য আমাদের কোনো টাকা দেওয়া লাগবে না। তবে আমাদের স্কুলের কম্পিউটার ব্যবহারের যে বিল আসতেছে তা তুমি দিয়ে দিলেই আমরা খুশি। তারপর ওরা রাজি হয়। এবং প্রত্যেক সপ্তাহে তিনবার বিল গেটস ও তার বন্ধুরা সেখানে যেত। এবং তাদের পুরো কম্পিউটার analysis করত। কোথাও কোনো ভুল আছে কিনা। এইভাবেই তারা তাদের স্কুলের বিল পরিশোধ করত। গেটস প্রথম থেকেই ম্যাথমেটিক্স এ দক্ষ ছিল এরপর সে কম্পিউটার পেয়ে প্রোগ্রামিং শিখে এবং তৈরী করে প্রথম computer program যেটা সে tic-tac-toe গেমে implement করে।
এরই মধ্যে হঠাৎ বিল গেটসের বন্ধু kate মারা যায়। খুবই অল্প বয়সে মারা যায়। বিল এটা মেনে নিতে পারেনি। তারপর 2-3 সপ্তাহ তিনি কম্পিউটারের কাছেও যায়নি। গেলে তার বন্ধুর কথা বার বার মনে পড়ত।যা খুবই বেদনাদায়ক ছিল বিলের জন্য।
তারপর নতুন একজন আসে বিলের সাথে কাজ করার জন্য যার নাম পল অ্যালেন।যিনি তাঁর থেকে 2 বছরের বড় ছিলেন।বর্তমানে, মাইক্রোসফট এর Co-founder যিনি।
সে সময় এমনটা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। ভবিষ্যতে, এরা দুই জন সফটওয়ারের সাহায্যে পৃথিবীকে বদলে দিতে পারে।যাইহোক,দেখতে দেখতে high school শেষ বিলের এবং পলের।
তারপর SAT নামের একটা পরীক্ষা হয়। যে পরীক্ষায় বিল গেটস পুরো আমেরিকার মধ্যে খুব ভালো score করে।সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো – ১৬০০ নম্বরের মধ্যে ১৫৯০ নম্বর পেয়েছিলেন। সবার কাছে যেটা ছিল বিস্ময়কর ব্যাপার।
বিস্ময়কর ফলাফলের দরুণ Bil Gates হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়ে যান। এখানে পড়তে এসে বিভিন্ন মানুষের সংস্পর্শে আসেন।
বিল গেটস যখন হার্ভার্ডে ভর্তি হয় তার বন্ধু পল যার সাথে সে ছোট বেলায় কাজ করত সে already corporate life এ ডুকে যায়। সে আর পড়াশোনা continue করেনা। সে coding করা start করে দেয়।
এবং তাই, Harvard ছেড়ে তিনি তার স্বপ্নের কোম্পানি মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠার দিকে পা বাড়ান। অ্যালেন ও গেটস দুজন মিলে ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন Microsoft কোম্পানি। এবং আস্তে আস্তে company টা famous হতে থাকে।
পরে তখন IBM or International Business Machines Corporation নামের একটি কম্পানি Microsoft এর কাছে এসে বলে আমি একটা কম্পিউটার বাজারে ছাড়তে যাচ্ছি এই কম্পিউটারের জন্য একটা অপারেটিং সিস্টেম দরকার। যে অপারেটিং সিস্টেম এর মাধ্যমে পুরো কম্পিউটারের enter page টা মানুষ সহজেই handle করতে পারে। তার একটা solution দরকার। কিন্তু বিল গেটস তখন খুবই বুদ্ধিমানের একটা কাজ করে সে তাদের সাথে একটা চুক্তি করে।
তারা প্রাথমিক অবস্থায় IBM এর কম্পিউটারের জন্য MS dos নামের operating system সরবরাহ করার চুক্তি করে।কিন্তু তারা software copyright নিজেদের কাছে রাখে। পরবর্তী সময়ে IBM এর PC এর বাজার খারাপ হয়ে যাওয়াতে তারা সফটওয়্যারটি অন্য কোম্পানিদের বিক্রি করে বিপুল মুনাফা লাভ করে।
1985 সালে Microsoft Company কম্পিউটারের জন্য windows একটি নতুন ধরণের operating system লঞ্চ করে যেটা খুব তাড়াতড়ি তখনকার সফটওয়্যার মার্কেটে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে।গেটস পরবর্তী সময়ে windows operating system কে আরো আপডেট করতে থাকেন এর বিভিন্ন নতুন নতুন version বের করতে থাকেন, যেগুলো বিভিন্ন সময়ে জনপ্রিয়তা পায়।
Windows জনপ্রিয়তা পাওয়ার পিছনে অনেক reason ছিল। তার মধ্যে Main reason গুলো হলো:
১. তখনকার মার্কেটে যে ধরণের operating system গুলি ছিল, উইন্ডোস ছিল তাদের থেকে খুবই সহজ। খুব সহজে তাকে নিয়ন্ত্রণ করা যেত।
২.উইন্ডোস আরো জনপ্রিয় হবার পিছনে আরো একটি কারণ তার easy graphical user interface.যখন সেই সময়কার অন্যান্য সফটওয়্যার গুলি command based operation মডেলে কাজ করতো উইন্ডোস ছিল একমাত্র যে ছবির মাধ্যমে বা Option click বা button ক্লিক করার মাধ্যমে কাজের ধারণা নিয়ে আসে।
৩. উইন্ডোস সেই সময়ে এত advance হওয়ার পিছনে কারণ ছিল গেটস এর এতো বছরের programming এর দক্ষতা এবং তার অভিজ্ঞতা।
তারপর, গেটস পরবর্তী সময়ে windows operating system কে আরো আপডেট করতে থাকেন এর বিভিন্ন নতুন নতুন version বের করতে থাকেন, যেগুলো বিভিন্ন সময়ে অনেক জনপ্রিয়তা পায়।
উইন্ডোস এর জনপ্রিয় কিছু version হলো যেমন:
- Windows NT
- Windows XP
- Windows 2000
- Windows Vista
- Windows 2007
- Windows 8 and 8.1
- Windows 10 (latest)
পরবর্তী সময়ে তিনি অপারেটিং সফটওয়্যার ছাড়াও অন্যান্য সফটওয়্যার Develop করেন যার কিছু উদাহরন হলো–
- Microsoft Word
- Microsoft Excel
- Microsoft PowerPoint
- Microsoft Outlook
- Microsoft One Note
- Microsoft OneDrive &
- Microsoft Teams.
পরে, বিল গেটসকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নি। বিশ্বের সবাই অবাক হয়ে তাকে এবং Microsoft এর কাজ দেখেছে। আর Windows অপারেটিং সিস্টেমের কারণেই ঘরে ঘরে কম্পিউটার চালানো সম্ভব হয়েছে।আগে কোড লিখে লিখে কম্পিউটার চালাতে হত সেটি আর থাকছে না।এ কারণে কম্পিউটার চালানো অনেক সহজতর হয়ে গেল।আর অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের চেয়ে Windows চালানো অধিক সহজ। যার ফলে Microsoft কোম্পানি ব্যাপক সাফল্য পায়।
আর সাফল্যের সাথে বিল গেটসের যশ, খ্যাতি, ক্ষমতা, সম্মান এবং অর্থ বাড়ে। মাত্র ৩২ বছর বয়সে অর্থাৎ, ১৯৮৭ সালে Fobers পত্রিকায় ৪০০ বিলিওয়ানের মধ্যে বিলের নাম চলে আসে। নিজের আত্ম প্রচেষ্টায় হয়ে ওঠা সবচেয়ে কম বয়স্ক বিলিয়নার হিসেবে তখন তাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয় ।কিছুদিনের মধ্যেই আরো যোগ হয়ে হয় ৯০০ বিলিয়ন ডলার! এবং দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকা প্রথম স্থান অধিকারী ব্যক্তির নাম হল বিল গেটস।
পরিশেষে আপনাদেরকে বলব, বিখ্যাত ব্যক্তিদেরকে আমাদের অনুসরণ করা উচিত অনুকরণ নয়। তারা কোন বিষয়ে সফল হয়েছে সেটা দেখার বিষয় নয়, কীভাবে সফল হয়েছে সেটাই মুখ্য বিষয়।আরেকটি কথা সব বিষয়ে একটু একটু জানার চাইতে একটি বিষয়ে এক্সপার্ট হওয়াটাই উত্তম। হাল ছাড়বেন না লেগে থাকুন। সততা এবং দৃঢ়তার সাথে কাজ করুন। সফলতা আসতে বাধ্য। ইনশাআল্লাহ!
No comments