Header Ads

Header ADS

বাংলাদেশের রহস্য জনক 5 টি স্থানসমূহ | The most 5 Secret place in Bangladesh


এই পৃথিবীর পুরোটাই কি আমরা জানি? একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে এমন কথা হাস্যকর মনে হবে বৈকি। কিন্তু মজার বিষয়টা হচ্ছে, আসলে এই পৃথিবীর অনেক কিছুই আমাদের অজানা। বিশেষ করে আধুনিক পৃথিবীর এমন অনেক গোপনীয়তা আছে যা চাইলেও একজন সাধারণ মানুষ জানতে পারে না।


বিশ্বের এই অদ্ভুত জায়গাগুলোর মতো বাংলাদেশেও এমন কিছু অদ্ভুত  জায়গা রয়েছে যার সমাধান আজও কেউ খুজে পায়নি।আজকে Tazza Trendz এর আজকের আয়োজনে আমরা আলোচনা করবো বাংলাদেশের 5 টি অদ্ভুত  জায়গা সম্পর্কে। 


প্রথমে রহস্যময় যে জায়গার কথা সবার মনে আসে সেটা হলো -


১. পদ্মা ও মেঘনা নদীর সংযোগস্থল



পদ্মা ও মেঘনা নদীর সংযোগস্থল



বাংলাদেশের রহস্যময় জায়গার কথা আসলে প্রথমেই যে জায়গার কথা আসে সেটি হলো পদ্মা ও মেঘনা নদীর সংযোগস্থল। আপনি শুনে হয়তো অবাকই হবেন। কারণ পদ্ম ও মেঘনা নদীর যে সংযোগস্থল রয়েছে সেটি সম্পূর্ণ একটি বৈচিত্রময় জায়গা।


আপনি যদি সেই জায়গাটি ‍নিজের চোখে দেখেন তাহলে আপনি দেখতে পাবেন যেখানে দুটি নদীর সংযোগস্থল রয়েছে। তার এক পাশের পানি পরিস্কার আর অপর পাশের পানি ঘোলাটে। আর কখনোই দুটি নদীর পানি একটি অপরটির সাথে মিলিত হয় না। মানে নদী দুটি একটি অপরটির সাথে মিলিত হলেও তার পানি মিলিত হয় না। এরা পুরোপুরি আলাদা অবস্থায় বজায় থাকে। আর এজন্য এটিকে একটি রহস্যময় জায়গা হিসেবে ধরা হয়। 



২. লালবাগ কেল্লার সুরঙ্গ



লালবাগ কেল্লার সুরঙ্গ

 লালবাগ কেল্লার কথা শুনেনি বাংলাদেশে এমন মানুষ হয়তো খুবই কম রয়েছে। লালবাগ এর কেল্লা দেশের রাজধানী ঢাকার একটি বিষ্ময়কর ও সৌন্দর্য্যমন্ডিত স্থান। যেখানে প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক ভিড় জমায়। এর নির্মাণ কাজ নিয়েও রয়েছে বেশ চানচল্যকর কিছু তথ্য।


কিন্তু লালবাগ কেল্লার ভেতরে যে একটি সুরঙ্গ রয়েছে সে সম্পর্কে অনেকেই কেউ জানে না। লালবাগ কেল্লায় অনেকগুলো সুরোঙ্গ রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে ততকালীন জমীদাররা সেখান দিয়ে পালিয়ে যেত। আর তার মধ্যে এমন এক সুরঙ্গ আছে যেখানে কেউ একবার গেলে আর ফিরে আসে না।


লালবাগ কেল্লার একটি ভবনের নাম পরিবিবি স্মৃতিসৌধ কিন্তু কেল্লার অসমাপ্ত অন্যান্য যে বাকী অংশগুলো বা সূড়ঙ্গগুলো ছিলো তা পরবর্তীতে পর্যটকদের নিকট এক অজানা রহস্যময় হয়ে উঠে।লোক মুখে জানা যায় সেখানে এমন একটি সূড়ঙ্গ আছে যার ভিতরে কেউ প্রবেশ করলে আর ফিরে আসে না।কথিত আছে যে সেই সূড়ঙ্গের ভিতরে দুটো কুকুর পাঠায় কিন্তু সেই কুকুরগুলো আর ফেরত আসেনি।এরপর আবারো কুকুর পাঠালো এবার শিকল বেধে কিন্তু শিকল টানলে শুধু শিকলগুলো ফেরত এলেও কুকুরগুলো আর ফেরত আসেনি।অনেকের মতে সূড়ঙ্গের ভিতরে এমন কিছু গ্যাস সৃষ্টি হয়েছে যাতে কেউ প্রবেশ করলে তার হাড় মাংস গলে যায়।আবার অনেকের মতে সেখানে ভয়ংকর কোন শক্তি আছে।সেই সূড়ঙ্গের অন্ধকার এতোটা গভীর যে সেখানে কোন টর্চ বা লাইটের আলোতেও অন্ধকারকে ভেদ করতে পারে না।সূড়ঙ্গটি এখন বন্ধ আছে এবং প্রবেশ নিষিদ্ধ। সুরঙ্গটি মুঘল আমলে বানানো হয়। তখন এটি এখণ যেমনটা দেখা যায় তেমনটা ছিলো না। এটাতে এতোটাই অন্ধকার যে কোনো লাইট বা আলো কাজ করে না। তাই এটিকে রহস্যময় জায়গা হিসেবে ধরা হয়েছে।


৩. সুয়াস অপ নো গ্রাউন্ড

 


সুয়াস অপ নো গ্রাউন্ড


নামটি ব্রিটিশদের দেয়া।বাংলাদেশের সুন্দর বনের দুবলার চর থেকে প্রায় ত্রিশ চল্লিশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড। প্রায় তিন হাজার আট শত বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে এর বিস্তৃতি এ সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড যাকে আমরা অতলস্পর্শীও বলে থাকি।মেঘনা নদী যেখান থেকে সাগরে মিশেছে সেই ঠিক জায়গাতে এক বার দু-মুখী স্রোতের ঠেলায় ১৮৬৩ সালে গ্যাড ফ্লাই নামে ব্রিটিশদের একটি গানবোট তলিয়ে যায়।যার ভিতরে ছিলো ভারত থেকে ইংল্যান্ডে নেয়া বিপুল পরিমাণ ধনরত্ন।অনেক খোজাঁ খুজিঁ করেও গান বোটটি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।ব্রিটিশদের ধারণা এই খাদটির কোন তল নেই।অনেকেই আবার সুয়াস অপ নো গ্রাউন্ডকে বেশ্বের দ্বিতীয় খাদ বলে নিবেদিত করেন। এই গ্রাউন্ডটির গভীরতা আজও পরিমাপ করা সম্ভব হয়নি। 

বঙ্গোপসাগরের নিকটে একটি গভীর উপত্যাকা আছে যাকে ওয়াটার ক্যানিয়ন বলে।বাংলাদেশের জেলেরা সেখানে মাছ ধরতে যান।সেখানে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়।জেলেরা মাছ ধরতে গিয়েই প্রথম ওখানকার জলের রং আলাদা আলাদা দেখতে পান।কেউ এর রহস্যের সন্ধানেও কোন চমকপ্রদ তথ্য পাননি।


৪. ফয়েজ লেক



ফয়েজ লেক


 বিনোদনের জন্য ফয়েজ লেক একটি প্রসিদ্ধ নাম। তবে নজর করা সুন্দর্যের সাথে নানা রকম কল্পনা প্রচলিত আছে। ফয়েজ লেক দিনের বেলা আনন্দ আর উৎসবের এলাকা হলেও, রাতে পরিণত হয় ভৌতিক স্থানে। লেকের এক পাশে নৌকা নিয়ে ভ্রমণ নিষেধ। সেখানে একটা ওয়ার্নিং বোর্ডও লাগানো আছে। শোনা যায় যে, ওই পাশে একটি পাথরের দ্বীপ আছে। একবার কেউ সেখানে চলে গেলে সে আর সহজে পথ খুঁজে পায় না।



5.জ্বীনের মসজিদ



জ্বীনের মসজিদ


লক্ষীপুর জেলার রায়পুর উপজেলায় দেনায়েতপুর নামক স্থানে এ ঐতিহাসিক স্থাপনা জীনের মসজিদটি অবস্থিত।১৮৮৮ সালে প্রায় ৫৭ শতাংশ জমির উপর নির্মিত এ মসজিদটির দৈর্ঘ ১১০ ফুট বাই ৭০ ফুট। ভারতের দিল্লীর শাহী মসজিদের আদলে নির্মিত এ মসজিদটির তিনটি গম্ভুজ আছে এবং এ মসজিদটির তলদেশে প্রায় ২৫ ফুট গভীরে একটি ইবাদতের ঘর আছে যা বর্তমানে জলে ভরাট।কথিত আছে মসজিদটির প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আব্দুল্লাহ ঐ তলদেশ এর ঘরটিতৈ ইবাদতে মগ্ন থাকতেন।মসজিদটির সামনে পাশে দুটো পুকুর সহ প্রায় ১৫ ফুট ভিত্তির উপর নির্মিত এর নির্মাণ কাজের গম্ভুজ কারুকার্য নকশা পর্যটকদের বেশ আকর্ষীত করে।

কথিত আছে যে এই মসজিদটি জ্বীনেরা তৈরী করেছিলো তাদের ইবাদতের জন্য।তারা সেখানে ইবাদতও করেছিলো বেশ কয়েক বছর।গভীর রাতে অধিবাসীরা সেই মসজিদ হতে জ্বীনদের জিকিরের আওয়াজ শুনতে পেতেন।কথিত এই ইতিহাসের প্রায় একশ ত্রিশ বছরের পুরনো মসজিদ ই আব্দুল্লাহ এখন এলাকাবাসীর নিকট জ্বীনের মসজিদ হিসাবেই বেশী পরিচিত হয়ে উঠে।


এই ছিলো বাংলাদেশের 5 টি রহস্যময় জায়গার নাম। আপনি চাইলে সেই জায়গাগুলো একবার পরিদর্শনও করতে পারেন। Blog টি ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ


Follow Us:

Facebook

Youtube




No comments

Powered by Blogger.