Header Ads

Header ADS

২০২৩ সালে দুর্ভিক্ষের কবলে পড়তে পারে গোটা বিশ্ব | In 2023, the whole world may fall under the grip of famine

 


২০২৩ সালে দুর্ভিক্ষের কবলে পড়তে পারে গোটা বিশ্ব | In 2023, the whole world may fall under the grip of famine



পৃথিবীতে একসাথে অসংখ্য মানুষ মারা যাবার সবচেয়ে বড় তিনটি কারণ হলো মহামারি, যুদ্ধ এবং দুর্ভিক্ষ। বারবার পৃথিবীতে এই দুর্ভিক্ষ এসে প্রাণ কেড়ে নিয়েছে লক্ষ কোটি মানুষের। কখনো এই দুর্ভিক্ষ এসেছে যুদ্ধের পর আবার কখনো এসেছে  মহামারির পর ।


আমাদের এই বাংলা অঞ্ঝলেও বিভিন্ন সময়ে দেখা দিয়েছে ভয়ংকর কিছু দুর্ভিক্ষ। বাংলার সবচেয়ে প্রাচীণ দুর্ভিক্ষের খবর পাওয়া যায় খ্রিষ্ট্রপূর্ব ৩ শতকের দিকে । মহাস্থানগড়ের শিলালিপিতে এর প্রমাণ পাওয়া যায় ।


এরপরের দেড় হাজার বছরে এই অঞ্চলে বড় কোন দুর্ভিক্ষের খবর পাওয়া যায় না।

দুই শতাব্দি আগে ইংরেজদের হাতে ক্ষমতা যাবার পর আবার দেখা দেয় দুর্ভিক্ষ । ভয়ংকর দুর্ভিক্ষ। শুধু খেতে না পেরে পথে ঘাটে পড়ে মারা যেতে থাকে অসহায় মানু্ষ।এর আগে এমন ভয়াবহ মানবিক দুর্যোগের মুখোমুখি হতে হয়নি এই অঞ্চলের মানুষেরা। 76 এর মন্বান্তর, ৪৩ এর দুর্ভিক্ষ ও ৭৪ এর দুর্ভিক্ষ ছিল বাংলার সবচেয়ে বড় তিন দুর্ভিক্ষ । স্বাধীন বাংলাদেশের একমাত্র দুর্ভিক্ষ ৭৪ এর দুর্ভিক্ষ। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়।


এরপর বাংলাদেশে আর কোনো দুর্ভিক্ষের কবলে মানুষ পড়েনি। তবে ২০২৩ সালে বাংলাদেশ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়বে। শুধু বাংলাদেশই নয়; গোটা বিশ্ব দুর্ভিক্ষের কবলে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।



In 2023, the whole world may fall under the grip of famine


২০২৩ সালে বিশ্বে দুর্ভিক্ষ এবং অর্থনৈতিক মন্দা আরও ব্যাপকভাবে দেখা দিতে পারে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশের নাগরিকদের প্রতিটি ইঞ্চি জমিকে উৎপাদনের আওতায় আনারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।


শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির অঙ্গনে উপস্থিত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাইকে অনুরোধ করব কারো কোনো এলাকায় ১ ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। কারণ সারা বিশ্বে এখন যে অর্থনৈতিক মন্দা সৃষ্টি হয়েছে- আমি যখন জাতিসংঘে গিয়েছি সেখানে অনেক দেশের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, সবাই খুব দুশ্চিন্তাগ্রস্ত যে ২০২৩ সালে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। আরও ব্যাপক অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমি বলব আমাদের দেশের মানুষকে এখন থেকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। ২০২৩ সালে দুর্ভিক্ষের কবলে পড়তে পারে গোটা বিশ্ব

তিনি বলেন, আমাদের মানুষ আছে, আমাদের মাটি অত্যন্ত উর্বর, কোনো জমি যেন অনাবাদি না থাকে। যে যা পারেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে নিজেদের সঞ্চয় বাড়াতে হবে। বিদ্যুৎ, পানি সবকিছু ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। ভবিষ্যৎ চিন্তা করে আমাদের এখন থেকেই সেভাবে কাজ করে যেতে হবে।


রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত, পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞার ফলে সারা বিশ্বের মানুষের কষ্টের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির পর আসলো রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ। সেই যুদ্ধের ফলে দৌয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। ফলে আজকে শুধু বাংলাদেশ না, বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। মূল্যস্ফীতি বাড়ছে, নিত্য পণ্যের দাম বাড়ছে, বিদ্যুৎ গ্যাস এবং জ্বালানি প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে। এতে করে উন্নত দেশগুলোও এখন হিমশিম খাচ্ছে।


এই ছিল আমাদের আজকের আয়োজন। কেমন লেগেছে আজকের এই এপিসোডটি তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন । আর্টিকেল টি ভালো লাগলে লাইক ও শেয়ার করতে ভুলবেন না । পাশাপাশি আমাদের Facebook,Youtube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন আর ফেসবুকে আমাদের ফলো করুন । ধন্যবাদ সবাইকে ।  ২০২৩ সালে দুর্ভিক্ষের কবলে পড়তে পারে গোটা বিশ্ব | In 2023, the whole world may fall under the grip of famine | Tazza Trendz

Follow Us: Facebook

                   Youtube 


No comments

Powered by Blogger.