একজোট হচ্ছে রাশিয়া, চীন, সৌদি, ভারত ও ব্রাজিল | পুতিনের জীবিত থাকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ জেলেনস্কির
একজোট হচ্ছে রাশিয়া, চীন, সৌদি, ভারত ও ব্রাজিল | পুতিনের জীবিত থাকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ জেলেনস্কির
পুতিনের জীবিত থাকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ জেলেনস্কির, অন্যদিকে, একজোট হচ্ছে রাশিয়া, চীন, সৌদি, ভারত ও ব্রাজিল।
প্রথমে জানাচ্ছি, পুতিনের জীবিত থাকা নিয়ে!
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জীবিত থাকা নিয়েই এবার সন্দেহ প্রকাশ করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের বৈঠকে জেলেনস্কির এমন মন্তব্যের পর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কূটনৈতিক মহলে। এদিকে জেলেনস্কির বক্তব্যের পরেই রাশিয়ার পক্ষ থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, জেলেনস্কির কাছে রাশিয়া ও পুতিন যে ‘বড় সমস্যা’ তা আবার স্পষ্ট হয়ে গেলো। তিনি চান রাশিয়া ও পুতিনের অস্তিত্ব মুছে যাক। যত তাড়াতাড়ি জেলেনস্কি বুঝতে পারবেন রাশিয়ার অস্তিত্ব আছে এবং থাকবে, ইউক্রেনের পক্ষে ততই মঙ্গল হবে।
বৈঠকে যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা শুরুর প্রসঙ্গে জেলেনস্কি বলেন, কার সঙ্গে আলোচনা হবে সেটাই আমার কাছে স্পষ্ট নয়। পুতিন আদৌ আর বেঁচে আছেন কি না, তা নিয়ে আমার সংশয় রয়েছে।
এর আগে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে মার্কিন এক সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল পুতিন গুরুতর অসুস্থ। অসুস্থ অবস্থায় বাসভবনের সিঁড়ি থেকে পড়ে রুশ প্রেসিডেন্ট জখম হয়েছেন বলেও ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল।
ডাভোসের আলোচনা সভায় জেলেনস্কি ইউরোপের নেতাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, আমি বুঝতে পারি না, ইউরোপের বিভিন্ন নেতারা বার বার আশ্বাস দেওয়ার পরেও একটি দেশ রাশিয়া কীভাবে বিনা প্ররোচনায় সামরিক অভিযান শুরু করতে পারে!
এইবার আসছি, একজোট হচ্ছে রাশিয়া, চীন, সৌদি, ভারত ও ব্রাজিল!
সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এক প্রকার ঠাণ্ডা যুদ্ধ চলছে। মূলত রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই দেশ দুটির মধ্যকার সম্পর্কের এই অবনতি শুরু হয়। গত বছর সৌদি আরবের ২ শতাংশ জ্বালানি তেল উৎপাদন কমিয়ে আনার সিদ্ধান্তের ঘোষণায় অনেকটা নড়বড়ে অবস্থা দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের।
এর জবাবে নো-পেক বিলের মাধ্যমে ওপেকপ্লাসভুক্ত তেল কোম্পানিগুলোর ওপর থেকে সুরক্ষা ব্যবস্থা তুলে নেয়ার কঠোর হুঁশিয়ারী দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পাল্টা জবাবে উদীয়মান অর্থনীতির দেশের জোট ব্রিকসে যোগ দেয়ার জন্য ব্রিকসের সদস্য রাষ্ট্র রাশিয়া, ভারত ও চীনকে অনুরোধ জানায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
প্রশ্ন হলো কেন সৌদি আরব গ্রিসের সদস্য হতে চায়?
প্রথমত গ্রিসের সদস্য দেশগুলোর মধ্য রাশিয়া একমাএ তেল সম্পদে স্বয়ং সম্পন্ন!
রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের পর থেকে পশ্চিমারা একের পর এক বানিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এতে বিশ্ব বাজারে তৈল সরবরাহ কমে যাওয়ায় দেখা যায় তীব্র সংকট। ফলে বিশ্বব্যাপী তেলের বাজারে রাশিয়ার প্রভাব আরও বেশি লক্ষ্য করা যায়। রাশিয়ার মতো তৈল সমৃদ্ধ দেশের সাথে বিশ্বের সর্বোচ্চ তেল সমৃদ্ধ আরেকটি দেশ সৌদি আরব যোগ দিলে তেলের বাজারে নিয়ন্ত্রণকারী রাষ্ট্রগুলো একটি বলায় চলে আসবে। এতে বিশ্বে তেলের বাজারে পশ্চিমাদের প্রভাব কমে আসবে।
দ্বিতীয়ত, যেহেতু চীন, ভারত ও ব্রাজিল বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম তেল আমদানিকারক দেশ সেহেতু সৌদি আরব ব্রিকসে যোগ দিলে তাদের তেল কেনার মত বিশাল বাজার ব্রিকস জোটিই পাবে।
সৌদি আরব ব্রিকসজোটে অংশ নিলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতগ্রস্ত হবে যুক্তরাষ্ট্র। বৃদ্ধি পাবে ব্যাংকের সুদের হার। এবং ধীরে ধীরে একটি বিপর্যয়ের মুখে পড়বে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি। কারন সৌদি আরব বর্তমানে তেল রপ্তানি করছে মার্কিন ডলারে। আর বিক্রসে যোগ দিলে বিপাক্ষিক মুদ্রা বিনিময়ের মধ্যে হতে পারে লেনদেন। অর্থাৎ bricks ভুক্ত দেশগুলো মার্কিন ডলার ছাড়াই নিজেদের মধ্যে তেল বানিজ্য করবে।
আর এর জন্য প্রয়োজন হবে নতুন একটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা ব্যবস্থা। যেহেতু বতর্মান বিশ্বের অর্থনীতির মুল শক্তি হলো পেট্রোলিয়াম সেহেতু পেট্রোলিয়াম সমৃদ্ধ দেশগুলো কে পেট্রোলিয়ামের বিপরীতে নতুন একটি মুদ্রা কে বিশ্বের কাছে পরিচয় করাতে হবে।
আর তা সম্ভব হলে নতুন মুদ্রা ডলারের বিপরীতে কাজ শুরু করবে!
এই দিকে বিশ্ব অর্থনীতিতে bricks নামের নতুন মুদ্রার কথা জানান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। অর্থনীতিবিদের মতে ডলারের বিপরীতে নতুন একটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা বাজারে নিয়ে আসলে বিশ্ব অর্থনীতিতে পশ্চিমাদের প্রভাব দুর্বল হয়ে পড়বে।
ব্রিকস সম্মেলনে পুতিন জানান, নতুন ব্রিকস রিজার্ভ কারেন্সী হবে পাচঁ দেশের মাঝে।
অর্থাৎ ব্রাজিলিয়ান রিয়েল, রাশিয়ান রুবেল, ভারতীয় রুপি, চীনারিয়ান Yuan, এবং সাউথ আফ্রিকান রেন্ট।
যদি ব্রিকস দেশগুলো একটি নতুন আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে তবে ডলার নির্ভর দেশগুলো অনেকটাই রক্ষা পাবে। ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির দেশগুলোর পক্ষ থেকে নতুন একটি রিজার্ভ মুদ্রার প্রচলন আন্তর্জাতিক রিজার্ভ সংকট সমাধানে ভূমিকা রাখবে।
আজ এই পযর্ন্তই! Blog টি শেষ পযর্ন্ত দেখার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। Blog টি ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক, কমেন্ট শেয়ার করে আমাদের পাশেই থাকবেন।
পরবর্তী সময়ে আরও একটি নতুন পর্ব নিয়ে চলে আসব আপনাদের মাঝে। ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ্ সবাইকে সুস্থ রাখুক ভালো রাখুক।
আল্লাহ্ হাফেজ!!
No comments