যুদ্ধ কীভাবে শেষ হবে? | যুদ্ধ বন্ধের জন্য রাশিয়ার উপর চাপ | Tazza Trendz Bangla
যুদ্ধ কীভাবে শেষ হবে? | যুদ্ধ বন্ধের জন্য রাশিয়ার উপর চাপ
যুদ্ধ কীভাবে শেষ হবে? ইউক্রেনের অবস্থান হচ্ছে, যেকোনো শান্তিচুক্তির জন্য রাশিয়ার সেনাদের ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সীমানা থেকে বেরিয়ে যেতে হবে। রুশ অভিযান শুরুর ৫দিন পর, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এ সংক্রান্ত এক ভোটে তাদের পক্ষে ১৪১টি দেশ সমর্থনও দিয়েছে। তবে রাশিয়া এসব মানবে, তার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
এখন কোনো যুদ্ধবিরতি বা শান্তি আলোচনার সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। তুরস্ক গত গ্রীষ্মে জাতিসংঘের সঙ্গে মিলে কৃষ্ণ সাগর দিয়ে শস্য রপ্তানি চুক্তি করে খানিকটা সফলতা দেখালেও এরপর আর কিছু দেখা যাচ্ছে না।
চীন মধ্যস্থতা চেষ্টা করলেও, রাশিয়ার সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠতার কারণে তাদেরকে সৎ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ইউক্রেইন এবং তার মিত্রদের কাছে বিবেচিত হচ্ছে না।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে এবার উদ্যোগ নিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ। যুদ্ধ বন্ধে এবার রাশিয়ার উপর চাপ প্রয়োগ করার জন্য চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-কে আবেদন করেছেন তিনি।
প্রস্তাবে রাশিয়া এবং ইউক্রেনকে শান্তি আলোচনায় বসতে এবং জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানানো হয়েছে। এই শান্তি প্রস্তাব নিয়ে চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইচ্ছাপ্রকাশও করেছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। চিনের প্রস্তাবকে যথেষ্ট ইতিবাচক বলে মনে করছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
সেই সঙ্গে রাশিয়াকে সমরাস্ত্র সরবারহ না করার জন্যও চিনের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন ম্যাক্রোঁ। রাশিয়া যাতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাসায়নিক বা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার না করে, সে ব্যাপারেও পুতিনের উপর চাপ সৃষ্টির পরামর্শ দিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালায়। যুদ্ধের এক বছর হয়ে গেলেও, এখনও থামার কোনও লক্ষণ নেই। যুদ্ধের ময়দান থেকে তিনি যে পালাতে নারাজ, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। যুদ্ধের বর্ষপূর্তিতেও ইউক্রেনকে নতুন করে গড়ে তোলার ডাকও দিয়েছেন তিনি।
কয়েকদিন আগে হঠাৎ-ই ইউক্রেন সফরে গিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই সফরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জেলেনস্কির পাশে থাকার বার্তা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারই পাল্টা হিসেবে চিনের প্রেসিডেন্ট রাশিয়া সফরে আসতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেলি ভ্লাদিমির পুতিন। আর তার পরেই যুদ্ধ থামাতে চিনের প্রতি ম্যাক্রঁ-র এই আবেদন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল।
এর আগে যুদ্ধ থামাতে ভারতের দ্বারস্থ হয়েছিল আমেরিকা। পুতিনকে বোঝাতে নরেন্দ্র মোদীর কাছে আবেদন করা হয়েছিল। রুশ প্রেসিডেন্টকে একমাত্র মোদীই বোঝাতে পারেন বলে জানিয়েছিল হোয়াইট হাউস।
এদিকে, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমান্যুয়েল ম্যাক্রঁ-রচিন সফর বলে জানা গেছে। শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পাশাপাশি একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
No comments